ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সীমান্তের গহীন অরণ্যে পাহাড় কেটে ইট ভাটা : ধ্বংস হচ্ছে বনাঞ্চল

mail.google.comওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::

উখিয়ার সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের গহীন অরণ্যে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ইট ভাটা। বনভূমির পাহাড় কাটা মাটি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ইট। জ্বালানী হিসেবে যোগান দেওয়া হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মূল্যবান গাছগাছালি। গত ৫ বছর ধরে ঐ ইট ভাটার আশে পাশে নির্বিচারে বন জঙ্গল লুটপাট, পাহাড় কর্তনসহ নানাবিদ তান্ডবে বনভূমি লন্ডভন্ড হয়ে গেলেও দেখার কেউ নেই। ইট ভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় আক্রান্ত এলাকাবাসী প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়ার পরও বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ ইট তৈরির কার্যক্রম। গ্রামবাসীর অভিযোগ প্রভাবশালী চক্রের হাতে বনবিভাগের দুর্নীতি পরায়ন কর্তাব্যক্তিরা ম্যানেজ হওয়ার কারণে অবৈধ ইটভাটা কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না।

সরেজমিন উখিয়া সদর থেকে রওনা হয়ে ৫ কিলোমিটার অদূরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলী এলাকায় গিয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বললেন, পূর্ব দিকের গহিন অরণ্যে ইটভাটাটি স্থাপন করা হয়েছে। পরে আরো ঘন্টা খানেক পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকেরা পাহাড় কেটে ইট তৈরির মাটি মজুদ করছে। আরো কিছূ দূর ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, বনাঞ্চলের গাছ কেটে শত শত মেট্টিকটন লাকড়ি মজুদ করা হয়েছে। এসময় ছবি ধারণ করতে চাইলে কয়েকজন শ্রমিক মারমুখী অবস্থায় বাধাঁ দিয়ে বললেন, ম্যানেজার না আসা পর্যন্ত ছবি তোলা যাবে না। পরে ইট ভাটা সংশ্লিষ্টরা বলেন, উখিয়ার বালুখালী গ্রামের আলী হোছন মেম্বারের ছেলে নুরুল হক কোম্পানীর মালিকানাধীন এ ইটভাটাটি এক সনের জন্য ৮ লক্ষ টাকায় ইজারা দিয়েছেন উখিয়ার আ’লীগ নেতা নামধারী আলী আহমদ কোম্পানী। তারা আরো বলেন, গেল বছর এ ইটভাটায় ২০ লাখ ইট তৈরি করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৪০ লাখ ইট তৈরির জন্য কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলাম জানান, সংশোধিত আইনে সংযোজিত পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে আধূনিক প্রযুক্তির ইট ভাটা অর্থাৎ জিগজাগ কিলন, টানেল কিলন বা অনুরূপ উন্নততর প্রযুক্তিতে ইট ভাটা স্থাপন করতে হবে। কৃষি জমি বা পাহাড় বা ঢিলা থেকে মাটি কেটে বা সংগ্রহ করে ইটের কাচাঁমাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে ইট তৈরি করার জন্য মজা পুকুর, খালবিল, নদনদী, চরাঞ্চল বা পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ করা যাবে না। মাটির ব্যবহার কমানোর জন্য কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ফাঁপা ইট তৈরি করতে হবে। নির্ধারিত মান মাত্রায় কয়লা ব্যবহার করতে হবে। যেসব জায়গায় ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না সেগুলো হচ্ছে উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য বাগান বা কৃষি জমি, পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা, নিষিদ্ধ এলাকার সীমা রেখা থেকে নূন্যতম ১ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ইট ভাটা করা যাবে না। পার্বত্য জেলায় পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির নির্ধারিত স্থানছাড়া অন্যকোন স্থানে ইট ভাটা তৈরি সম্পূর্ণ নিষেধ রয়েছে। তিনি জানান, বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৫টি ইট ভাটা রয়েছে। যার একটিও নীতিমালায় পড়ে না। ইটভাটা মালিক বালুখালী গ্রামের নুরুল হক কোম্পানী জানান, তার কাছে ইট ভাটার কোন বৈধতা না থাকায় আলী আহমদ কোম্পানীর নামে ইট ভাটাটি চালানো হচ্ছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বর্তমানে নুরুল হক কোম্পানী ঐ এলাকায় আরো একটি ইটভাটা কার্যক্রম শুরু করেছে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ উক্ত অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করে বলেন, পত্রপত্রিকায় ফলাও করে ইটভাটার তথ্য প্রচার করা না হলে তা বন্ধ করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, ঘুমধুম ইউনিয়নে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা এসব ইটভাটার কারণে পাহাড় কাটা, বন সম্পদ ধ্বংসের তান্ডবলীলা চলছে। তিনি এব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় যত্রতত্র ইট ভাটা তৈরির বিষয়টি উত্থাপন করে অবৈধ ইট ভাটা বন্ধের জোরালো দাবী জানাবেন বলে সাংবাদিকদের আশ্বাস্ত করেছেন।

……………………………….
দরিদ্র মানুষের পাশে আইওএম উখিয়া হাসপাতালে স্বল্প ব্যয়ে ২২ ধরণের এক্সরে ও ১২ ধরনের টেষ্ট

ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::

সংশ্লিষ্ট  টেকনিশিয়ান, যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য উপকরনের অভাবে বছরের পর বছর বারান্দায় বাক্সবন্দি এক্সরে মেশিন পড়েছিল। হাতে গুনা কয়েকটি সাধারণ টেষ্ট ছাড়া ল্যাবে তেমন কোন পরীক্ষা হতো না। এখন সে দুরাবস্থা কাটিয়ে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২ ধরনের এক্সরে ও ১২ ধরনের প্যাথলজি পরীক্ষা করা হচ্ছে স্বল্প ব্যয়ে। তবে এসব সুবিধাদির কথা সাধারণ লোকজন এখনো জানে না। সাধারণ দরিদ্র রোগীদের সুবিধার্থে এসবের সহযোগীতা দিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

গতকাল রবিবার উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্যাথলজি ল্যাবটির টেকনিশিয়ান রফিকুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন সহায়ক যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাবে এতদিন হাতে গুনা কয়েকটি সাধারণ পরীক্ষা করা হতো এখানে। গত প্রায় এক মাস ধরে এখানে এন্টিএইচসিভি, টিপিএইচএ, এইচআইভি, ব্লাড আর/ই, ডায়াবেটিকস, এস.ইলোকট্রোলিটস সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যয়বহুল টেষ্ট সহ ১২ প্রকারের পরীক্ষা স্বল্প মূল্যে করা হচ্ছে। তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে আরো উল্লেখযোগ্য কিছু পরীক্ষা এখানে করা হবে। তবে এসব পরীক্ষা করা হচ্ছে নূন্যতম ইউজার ফি’র বিনিময়ে। অন্যদিকে বছরের পর বছর হাসপাতালের বারান্দায় বাক্সবন্দি লাশের মত পড়ে থাকা সরকারের আধুনিক মূল্যমানের এক্সরে মেশিনটি ও সম্প্রতি প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ান, এক্সরে ফ্লিম, অন্যান্য উপকরণের অভাবে এটি চালানো সম্ভব ছিল না বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম উদ্যোগ নিয়ে এক্সরে মেশিনটি চালু করেছে। তবে এক্ষেত্রে হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি সাংসদ আবদুর রহমান বদি সহ অন্যান্য সদস্যদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এখনকার দরিদ্র লোকজনের কষ্ট লাঘবেও দ্রুত স্বল্প ব্যয়ে হাতের কাছে স্বাস্থ্য সেবা পেতে ভূমিকা রয়েছে বলে সদর রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান।

এক্সরে টেকনেশিয়ান মোঃ আনিসুর রহমান জানান, আইওএম এর নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে তাদের সহায়তায় বর্তমানে এখানে লুম্বার স্পাইন, থোরাসিস স্পাইন, চারভিক্যাল স্পাইন সহ ২২ প্রকারের এক্সরে করা হচ্ছে স্বল্প মূল্যের বিনিময়ে। সংশ্লিষ্টরা জানান, আইওএম এর সহায়তায় এসব পরীক্ষা ও এক্সরে সহজে নূন্যতম ফি’র বিনিময়ে করা হচ্ছে। যা এতদিন রোগীদের কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট প্যাথলজি ও ল্যাব থেকে করে আনতে হত। এতে রোগী সংশ্লিষ্টদের সময় ও অর্থ উভয় সাশ্রয় হচ্ছে। উখিয়া স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল মাবুদ বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির আন্তরিকতায় বিভিন্ন এনজিও উখিয়া হাসপাতালের রোগীর সুবিধার্থে নানা ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। হাসপাতাল ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সভাপতি ও সাংসদ আবদুর রহমান বদি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা উখিয়া ও টেকনাফের লোকজন অপেক্ষাকৃত দরিদ্র ও অনগ্রসর। তাছাড়া এ দুটি উপজেলার স্বাস্থ্য সেবা সহজ লভ্য নয়। রোগীদের সামান্য বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার সদরে ভোগান্তি পেতে হয়। তিনি বলেন, এখানকার দরিদ্র ও অনগ্রসর মানুষের স্বাস্থ্য সেবা হাতের নাগালে পৌছাঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ও ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে। উখিয়া ও টেকনাফের দুটি হাসপাতালে আইওএম ও বিডিআরসিএস এর সহযোগীতায় আধুনিক মান সম্পন্ন স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা প্রদানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তাও মিলছে বলে সাংসদ আবদুর রহমান বদি জানান। তিনি অবশ্য এক্ষেত্রে এখানকার অসহায় লোকজনের পাশে আন্তরিকতার সাথে দাঁড়াতে সরকারি ডাক্তার কর্মচারীদের আহ্বান জানান।

…………………………..

উখিয়ার লক্ষাধিক মানুষ বাশেঁর সাকো দিয়ে পারাপার:দূর্ভোগের শেষ নেই

ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::

উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ও রতœাপালং ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থার কিছুটা উন্নত হলেও অন্য ৩ ইউনিয়নে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত হয়ে আসছে যুগযুগ ধরে। বিশেষ করে উপজাতি অধ্যুষিত জনপদ জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী, পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা, মোছারখোলা এলাকার গ্রামীণ জনপদের অসংখ্য খাল, চড়া, নালা, জলাশয় ও ভাঙ্গন পারাপর করছে বাঁেশর সাকো দিয়ে। গ্রামবাসীর অভিযোগ জাতীয় ও ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীরা এসব জনপদ উন্নয়নের প্রতিশ্র“তি দিয়ে ভোট আদায় করলেও নির্বাচনের পর আর কারো দেখা মিলেনা।

সরেজমিন পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা ঘুরে স্থানীয় উপজাতি সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, থাইংখালী থেকে তেলখোলা পর্যন্ত মাত্র সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার পূর্বক যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী থাকা সত্ত্বেও ওই সড়কের উপর কোন জনপ্রতিনিধির সু-নজর পড়েনি। যার ফলে বর্ষাকালে তেলখোলা মোছারখোলার মাধ্যমিক স্তরের প্রায় শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে ৬ কিলোমিটার পথ আসা যাওয়া করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। স্থানীয় বনবিভাগের হেডম্যান বাউনু চাকমা জানান, একমাত্র অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এখানকার মানুষ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুপিয় পানি, উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করণসহ সার্বিক বিষয়ে অভাব জনিত কারণে এখানকার মানুষ নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মানিক চাকমা জানান, ইউনিয়ন পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন বরাদ্ধে বৈষম্যতার কারণে তিনি তেলখোলা মোছারখোলা এলাকায় বিগত ৫ বছর কোন উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করতে পারেনি। যে কারণে বিগত ইউপি নির্বাচনে স্থানীয় ভোটারেরা তাকে প্রত্যাখান করেছে।

বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে অত্র এলাকার পাড়া প্রতিবেশী ও সাধারণ জনগণকে সীমাহীন দূর্ভোগের যাতাকলে পড়ে দিনাতিপাত করতে হয় বলে স্থানীয় আ’লীগ নেতা এম এ মনজুর জানান, গত বর্ষা মৌসুমে একমাত্র বোনের বিয়ের দাওয়াত কার্ড করতে গিয়ে আব্বাস উদ্দিন নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র বাশেঁর সাকো থেকে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। ২৪ ঘন্টা পর স্থানীয় গ্রামবাসী তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এছাড়াও হলদিয়াপালং ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য সরওয়ার আলম বাদশা অভিযোগ করে জানান, গোবিশন ঝোরার উপর নির্মিত সুইচ গেইটটি ধ্বসে পড়ার কারণে অত্র এলাকার ৫ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় বাঁশের সাকো দিয়ে কোন রকম পারাপার হলেও তা ক্ষণস্থায়ী তিনি জানান, উক্ত সুইচ গেইটটি পুণ: নিমার্ণ বা সংস্কারের ব্যাপারে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদারবনিয়া গ্রামের থোয়ামং চাকমা জানান, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে নৃতাত্তিক জনগোষ্ঠির অধিকাংশ ছেলে মেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত ৫ বছরে এলাকার কোন উন্নয়ন হয়নি। যে কারণে গ্রামীণ জনপদের অসংখ্য মানুষ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।

পাঠকের মতামত: